প্রেমিককে পেতে প্রেমিকার"বুকে ব্যাথার" অভিনয় করে হাসপাতালেই বিয়ে হলো প্রেমিক যুগলের

প্রেমিককে পেতে প্রেমিকার”বুকে ব্যাথার” অভিনয় করে হাসপাতালেই বিয়ে হলো প্রেমিক যুগলের

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রেম মানেনা কোন বাধা প্রেমিককে পেতে “বুকে ব্যাথার ভান করে প্রেমিকা। সদ্য বিয়ে ঠিক মেয়ের এমন ‘অসুস্থতায়’ চিন্তিত বাবা-মা সহ পুরো পরিবার। নিয়ে এলেন চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক হার্টের কয়েকটি টেস্ট করেও কোনো রোগ শনাক্ত করতে পারেননি। কিন্তু তরুণীর সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসক জানতে পারলেন ‘আসল রোগ’। মূলত তরুণী তার প্রেমিককে বিয়ে করতে অসুস্থতার ভান করেছিলেন। বিষয়টি জানার পর তরুণীর বাবা ক্ষিপ্ত হন। কিন্তু তরুণী তার দাবিতে অনড়। তরুণীর বাবাকে অনেক বুঝিয়ে অবশেষে রাজি করা হয়। এরপর হাসপাতালেই তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এতে সহযোগিতা করেন হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা। এমন একটা ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি হাসপাতালে । গত বৃহস্পতিবার(১৬ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোডের ‘মা হাসপাতালে’ তাদের বিয়ে হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ‘বুকে ব্যথা’ হওয়ায় বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের হাউজিং এলাকার মো. ইউসুফের মেয়ে খাদিজাকে (১৮) ‘মা হাসপাতালে’ ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে ছিলেন তার মা-বাবা। হাসপাতালটির ডিউটিরত ডাক্তার মাহফুজ তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করান। তার হার্টের কয়েকটি টেস্ট করান। কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিক এলে তিনি নিশ্চিত হন, তরুণীর কোনো রোগ নেই। তবে খাদিজাকে দেখে চিকিৎসকের সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন খাদিজা কোনো কারণে ভান ধরেছেন।এরপর চিকিৎসক রোগীর বাবা মাকে চেম্বার থেকে বাইরে যেতে বলেন। পরে তিনি তরুণীর কাছে জানতে চান, আসল কারণ কী? তরুণী জানান, তিনি ওয়ালীউল্লাহ নামে একজনকে ভালোবাসেন। তবে মা-বাবা তার বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক করে ফেলেছেন। এজন্য প্রেমিককে বিয়ে করতে তিনি এই অভিনয় করেছেন। তখন চিকিৎসক মাহফুজ খাদিজার প্রেমিককে কল করে তার প্রেমিকার অবস্থা অনেক খারাপ জানিয়ে তাকে আসতে বলেন হাসপাতালে। ছেলে আসতে রাজি হলে তিনি মেয়ের বাবাকে বিষয়টি জানান।বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়েকে বাড়িতে উঠতে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু খাদিজা বিয়ের দাবিতে অনড় সিদ্ধান্তের কথা ব্যক্ত করেন। একপর্যায়ে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। অনেক বুঝানোর পর বিয়ের কার্যক্রম শুরু করেন মেয়ের বাবা। তখন ছেলের পক্ষ থেকে ছেলের দুলাভাই আর খালা উপস্থিত হন। পরবর্তীতে হাসপাতালের ডাক্তার,নার্স ও স্টাফদের সহযোগিতায় সুন্দরভাবেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনেই গার্মেন্টসকর্মী।বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘মা হাসপাতালের’ রিসিপশনের দায়িত্বে থাকা মো. সোহাগ বলেন,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়।

ফেসবুক থেকে মন্তব্য করুন