যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। সোমবার প্রথম এ টিকা নিয়েছেন ৮২ বছরের ডায়ালাইসিস রোগী ব্রায়ান পিংকার।
তিনি যে হাসপাতালে টিকাটি নিয়েছেন সেখান থেকে মাত্র কয়েকশ’ মিটার দূরে তা উদ্ভাবিত হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। পরে ভারতও টিকাটির অনুমোদন দেয়।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, এই টিকা অনুমোদন পাওয়ায় আমরা আশাবাদী যে, বসন্তের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের এ টিকা কর্মসূচির আওতায় আনা যাবে। খবর বিবিসির।
২০২০ সালের শুরুর দিকে ডিজাইন করা হয়েছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। এপ্রিলে প্রথম এটি স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর পরীক্ষা করা হয়। পরে হাজার হাজার মানুষের ওপর ব্যাপক আকারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়।
ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন যেমন ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এটিতে তা নেই। সাধারণ ফ্রিজেই এটি সংরক্ষণ করা সম্ভব।
অক্সফোর্ডের প্রথম টিকা নেয়া অবসরপ্রাপ্ত মেইনটেন্যান্স ম্যানেজার পিংকার টিকা উদ্ভাবনকারী বিজ্ঞানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পিংকার বলেন, আজ করোনা টিকা নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত এবং অক্সফোর্ডে তা উদ্ভাবিত হয়েছে বলে সত্যিকার অর্থে গর্ববোধ করছি।
পিংকার আরও বলেন, নার্স, চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের কাছ থেকে খুব ভালো ব্যবহার পেয়েছি। এখন আমি স্ত্রী শারলির সঙ্গে বছরের শেষ দিকে ৪৮তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের কথা ভাবতে পারছি।
যুক্তরাজ্যে বেড়ে চলা করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশটির সরকার টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করছে।
করোনার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই টিকা দেওয়া শুরুর ঘটনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
প্রথম ধাপে এই টিকা পাবেন-এমন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সম্মুখসারিতে থাকা জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী, সামাজিক সেবাকর্মী, কেয়ার হোমের বাসিন্দা ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী লোকজন।