সোমবার, ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
২রা মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি, সকাল ১১:২৪

নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মঞ্জুর আলমের রিকুইজিশন ও মামলা বাণিজ্য!

তাজুল ইসলামঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট মঞ্জুর আলম রিকুইজশন ও মামলা বাণিজ্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।বিভিন্ন পরিবহন রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে রিকুইজিশন ও মামলা করার ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেন অর্থ। গত বৃহস্পতিবার শিমরাইলমোড়ে ডিউটির সময় ১৫ টি হাইয়েচ ও নোয়া গাড়ি আটক করেন রিকুইজশন করার নামে। কিন্তু ওই সকল গাড়ির কাগজপত্র শিমরাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে দর দাম হাকতে থাকেন। নির্বাচনের ডিউটি বাধ্যতামূলক করা লাগবে এ ভয়দেখিয়ে গাড়ি চালকদের ভরকে দেন। এ অবস্থায় ওই সকল গাড়ি চালকরা নিরুপায় হয়ে সার্জেন্ট মঞ্জুর আলমের সুপরামর্শ চান। এক্ষেত্রে সার্জেন্ট গাড়ি চালকদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন বলে গাড়ি চালকেদের অভিযোগ। এক্ষেত্রে ওই সার্জেন্ট প্রত্যেক গাড়ি বাবদ ৪ হাজার টাকা লাগবে বলে জানিয়ে দেয় বলে গাড়ি চালক রহমান জানায়। পরে অনেক দেনদরবার দরকষাকষির এক পর্যায়ে ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি গাড়ি ছাড়া পায় বলে গাড়ি চালক রহমান জানায়। ওই গাড়ি চালক াারো জানায়, এভাবে সে আরো কয়েকটি গাড়ি টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছেন। শিমরাইলমোড়ে বৃহস্পতিবার অনেক গাড়ির চাপ থাকা সত্বেও সার্জেন্ট ছিলেন রিকুইজিশন ও মামলা বাণিজ্যে। নোয়া গাড়ি চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার গাড়ির নামে বিশাল অংকের মামলার ভয় দেখিয়ে ২ হাজার টাকা নিয়ে সার্জেন্ট গাড়িটি ছেঢ়ে দেন। এভাবে ওই সার্জেন্ট রুপগঞ্জের গাউছিয়া, শিমরাইলমোড়সহ যেখানেই ডিউটি করেন সেখানে তিনি ডিউটি ঠিক মতো না করে গাড়ি রিকুইজিশন ও মামলা বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে সার্জেন্ট মঞ্জুর আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেন।

ফেসবুক থেকে মন্তব্য করুন

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা