স্টাফ রিপোর্টারঃ
৩ মার্চ ২০২১ তারি সোয়া ৩ টার দিকে ৯৯৯ এর কল পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে অপহরনকারীকে গ্রেপ্তারসহ অপহৃত তরুণী তানিয়া (১২) কে উদ্ধার করল কাঁচপুর হাইওয়ে থানা। গত ০২/০৩/২০২১ অপহরনকারী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) পিতাঃ ধলু প্রামানিক মাতাঃ নুরজাহান বেগম গ্রামঃ শাকপালা দক্ষিনপাড়া থানাঃ বগুড়া সদর জেলাঃ বগুড়া উক্ত তানিয়া আক্তার (১২) পিতাঃ রহিম উদ্দিন মাঃ জেলেখা গ্রামঃ মাতুনচাপড় থানাঃশাহজানপুর জেলা বগুড়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে নোটারী পাবলিক কার্যালয় বগুড়ার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা কাবিন ধার্য করে এক হাজার টাকা স্বর্নের অলংকার দ্বারা পরিশোধ পুর্বক বিয়ে করে। বিয়ের পরেই উক্ত ভিকটিমকে নিয়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর বাস নং ঢাকা মেট্রো ব ১৫—০২৩৮ যোগে বগুড়ার হতে চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে বাসের কোন এক যাত্রীর সন্দেহ হলে জরুরী সেবা ৯৯৯ তে ফোন করেন। ৯৯৯ থেকে অফিসার ইনচার্জ কাঁচপুর হাইওয়ে থানাকে ফোন করলে তাৎক্ষণিক থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান এর নির্দেশে টহলরত অফিসার সার্জেন্ট আরিফুল ইসলাম দ্রুত কাঁচপুর ব্রীজের ঢালে অবস্থান নিয়ে বাসটি সনাক্ত পুর্বক ভিকটিমকে উদ্ধার করেন এবং আসামীকে আটক করেন। উক্ত আসামী পেশায় একজন ভ্যান চালক।সে এবং ভিকটিম পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকত। ভিকটিমের বাবা তার মাকে ছেড়ে অন্যত্রে বিয়ে করেন। এছাড়া আসামীর ইতোপূর্বে ২ জন স্ত্রী আছে। সে বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শাহজানপুর থানা বগুড়ায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ২ তারিখ ০৩/০৩/২০২১ খ্রিঃ ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায়। ভিকটিম এবং আসামীকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান কাঁচপুর হাইওয়ে থানা এলাকাকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার কারণে একের পর এক সাফল্য বয়ে আনছেন।