সোমবার, ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
২রা মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি, সকাল ১০:৫৬

প্রত্যেকের প্রতি রাষ্ট্রের যে কর্তব্য সেটি করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রত্যেকের প্রতি রাষ্ট্রের যে কর্তব্য রয়েছে সেটি পালন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের কোনো মানুষ যেন নিজেকে অপাংক্তেয় মনে না করে। কোনো মাধ্যম ছাড়া মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা সরাসরি উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। খবর বাসসেরএখন থেকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ উপকারভোগীদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে (নগদ ও বিকাশ) পৌঁছে যাবে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যেদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ নিয়েছিলাম সেদিনই বলেছিলাম দেশের সেবক হিসেবে কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে আর কিছু না কেবল কাজের সুযোগ কাজের ক্ষমতাটার প্রাপ্তি।আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল সরকারই নয়, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রত্যেককে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোন লোক দরিদ্র, গৃহহীন বা তাদের নিজের অঞ্চলে সমস্যায় রয়েছে তা খুঁজে বের করুন।
শেখ হাসিনা বলেন, অসহায় মানুষের নাম জানতে পারলে সরকার অবশ্যই তাদের জন্য আবাসন ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা করবে। একসঙ্গে কাজ করলে আমরা অবশ্যই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চায় এবং মুজিব বর্ষে সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন সুবিধা সরবরাহের পাশাপাশি শতকরা শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে চায়। আমরা প্রত্যেককে বাড়ি এবং একটি আশ্রয় প্রদান করব। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিদ্যুত দিয়ে আমরা প্রতিটি বাড়ি আলোকিত করব।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টা ছিল বিতরণ প্রক্রিয়ায় সব মধ্যস্বত্বভোগীদের অপসারণ করে ভাতা সরাসরি উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার।তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছি যাতে সামাজিক সুরক্ষার ভাতাগুলো সঠিকভাবে সঠিক মানুষের (সুবিধাভোগীদের) হাতে পৌঁছায় এবং এ প্রক্রিয়াতে যেন কোনো মধ্যস্বত্বভোগী না থাকে। উপকারভোগীদের অর্থ সরাসরি তাদের কাছে যাবে এবং তারা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী সেই অর্থ ব্যয় করতে পারবেন।সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা সরকার থেকে ব্যক্তি (জিটুপি) পদ্ধতিতে বিতরণ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, নগদ ও বিকাশ পরিষেবাদির মাধ্যমে ভাতাগুলো পাঠানো হবে। এর ফলে সকলে (উপকারভোগী) উপকৃত হবেন।পরে চাঁদপুর, পিরোজপুর, লালমনিরহাট ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ সচিব মো. জয়নুল বারী।

ফেসবুক থেকে মন্তব্য করুন

এই বিভাগের আরও খবর


ফেসবুকে আমরা